20,2022 Monday at 18:29:14 | Share |
বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' কালজয়ী গানের স্রষ্টা আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ প্রগতিশীল, সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন অগ্রপথিককে হারালো।
তিনি বলেন, তাঁর একুশের অমর সেই গান বাঙালি জাতিকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তির আন্দোলনে অসীম সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছিল।
বিশিষ্ট কলামিস্ট গাফফার চৌধুরীর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, লেখনীর মাধ্যমে তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কাজ করে গেছেন।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘তাঁর মৃত্যু দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। মরহুম আবদুল গাফফার চৌধুরী তাঁর কালজয়ী গান ও লেখনীর মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।’
তিনি মরহুম আবদুল গাফফার চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অন্য শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী তাঁর মেধা-কর্ম ও লেখনিতে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন এবং বাঙালির অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে আমার বহু স্মৃতি জড়িত। অনেক পরামর্শ পেয়েছি। একজন বিজ্ঞ ও পুরোধা ব্যক্তিত্বকে হারালাম যিনি তাঁর লেখা ও গবেষণায় আমাদের বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’ পত্রিকায় তার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বিদেশে অবস্থানকালে বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে দেশি-বিদেশী গনমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন।
সরকার প্রধান মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ কবি ও গীতিকার গাফফার চৌধুরী আজ স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
User Comments



- জাতীয়