21,2021 Thursday at 14:43:29 | Share |
চাঁদাবাজি ও একক প্রভাব বিস্তারের জেরে সন্দ্বীপে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী খুন

চাঁদাবাজি ও একক প্রভাব বিস্তারের জেরে সন্দ্বীপে উপ দলীয় কোন্দলে নিজ গ্রপের সন্ত্রাসীদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই যুবলীগ কর্মী বাবলু (৩০) খুন হয়। আহত হয় আরও ৪ সন্ত্রাসী । মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারটায় সন্দ্বীপ পৌরসভার তেগবাজের গো সাঁকো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলু সন্দ্বীপ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীনের পুত্র। সে পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বলে দাবী করেছে তার পরিবার। ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের রাজিব (২০), ও ৪ নং ওয়ার্ডের আবেদ (২৩),করিম (২১) ও শাকিল (২০)।
আহতদের মধ্যে রাজিবকে জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। চোখের পাশে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ হত্যাকান্ডের জন্য বাবলুর স্বজনরা তার মামা রাসেলকে দায়ী করেছেন। সহকারি পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড) রেজাউর রহমান রেজা জানান এটি কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়, এলাকায় চাঁদাবাজি ও একক প্রভাব বিস্তারের জন্য এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তালুকদার মার্কেট থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে তেজবাগের সাঁকোর কাছে পৌঁছলে সংঘবদ্ধ একটি দল তার ওপর এলোপাথাড়ি সশস্ত্র হামলা চালায়। মোটর সাইকেলে থাকা তার অপর ৩ সহযোগী আহত অবস্থায় খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে রক্ষা পেলেও বাবলু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় নিহত বাবলুর মোটর সাইকেলটি সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দেয় এবং তাকে খালের পানিতে ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও বাবলুর লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। সকালে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাবলুর খালতো ভাই সোহেল রানা মেম্বার বাবলুর মা ও বোনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে বাবলুকে খুন করেছে। বুধবার ময়না তদন্তের পর বিকেল ৫ টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানা গেছে, এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে মামা রাসেল ও ভাগিনা বাবলুর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
সন্দ্বীপ থানার ওসি মো. শামছুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করছে।
User Comments



- আরো