04,2018 Thursday at 08:00:04 | Share |
সন্দ্বীপে স্কুল কমিটির মনোনয়ন নিতে সন্ত্রাসীদের বাধা, অসহায় সাধারণ প্রার্থীরা

নিউজ৭১. কম :: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মুছাপুর হাজি আবদুল বাতেন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মনোনয়নপত্র তুলতে সাধারণ প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা একতরফা ভাবে বিজয়ী হতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে গত মঙ্গলবার থেকে বসিয়েছে সন্ত্রাসীদের মহড়া।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আগামী ২২ অক্টোবর মুছাপুর হাজি আবদুল বাতেন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলতে গত ২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হুদা। নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়াকে। কিন্তু নির্বাচনে ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান পদে একক ভাবে বিজয়ী হতে সন্ত্রাসীদের দিয়ে সাধারণ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবু তাহের।
তারা আরো জানান, অন্য কেউ যাতে মনোনয়নপত্র তুলতে না পারেন, সেজন্য উপজেলা সমবায় অফিসের সামনে তাহেরের পক্ষে সকাল-সন্ধ্যা মহড়াও বসিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হলেও, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ফরম না তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাহেরের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সমবায় কর্মকর্তা মিন্টু বড়ুয়ার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টেলিফোনে এমন অভিযোগ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও পৌর সভার মেয়র জাফর উল্লাহ টিটো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন, আবু তাহের আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না। আর এ সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তাহের। তিনি এমপির প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন। সেখান থেকে টাকার বিনিময়ে জামায়াত কর্মীকে নিয়োগ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া, স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জিতিয়ে দেওয়ার কথা বলেও অনেক টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, এমপি মিতার বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর গত ১১ মার্চ সন্দ্বীপ পৌরসভার পাঁচ কাউন্সিলরের বাড়িঘরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার মদদদাতা হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নাম ওঠে সাংসদ মিতার বিরুদ্ধে।
এসব নারকীয় ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন জানলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কর্মকর্তারা।
User Comments



- সন্দ্বীপ প্রতিদিন